মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। ঘূর্ণিঝড় ফর্ণীর আঘাতে গত শুত্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকুলী এলাকায় দমকা হাওয়া এবং অঝোড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। ঘুর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে কৃষকের রবিশস্য ও শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কলাপাড়া কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, এ বছর ৪৪ হেক্টর জমির বোরো ধান, ১০ হেক্টর জমির মিষ্টি আলু, ৯০ হেক্টর ভূট্টা, বাঙ্গী ৬ হেক্টর, শসা ১২ হেক্টর, চিনাবাদাম ৭৫ হেক্টর, সূর্যমূখী ৭ হেক্টর, ১৬০ হেক্টর জমির মরিচ, ৮০ হেক্টর জমির মুগডাল, ১৭৪ হেক্টর জমির শাকসবজি বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারি হিসাবে এখানে অন্তত ১০ কোটি ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকার ক্ষতির দাবি করা হয়েছে। ধান-রবিশস্যসহ শাক-সবজির ৬৫৮ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়। ৪৭৩০ জন কৃষকের এ পরিমান ক্ষতি হয়েছে।
ধুলাসার ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের মো.মহিউদ্দিন খাঁন বলেন,আমার প্রায় ৯০শতাংশ জমির মুগডাল, চিনাবাদাম, পুইশাকসহ রবিশস্য বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।
ধুলাসার ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের মো.আজাদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে আমার আধাকানির জমির বোরোধান ক্ষেত বাতাসের কারনে সব ধান শুইয়ে পড়ছে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফর্ণীর প্রভাব পড়বে তা আগে থেকে কৃষকদের জানানো হয়েছে। এজন্য অনেকে বিভিন্ন রবিশস্য ও বোরোধান আগে থেকেই ধান কেটে ফেলেছে ও রবিশস্য তুলে ফেলেছে এ কারনে ঘূর্ণিঝড় ফনির কৃষকদের ক্ষতির পরিমান কম।
Leave a Reply